জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আবারও খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। দলের চেয়ারপারসনের জামিন না হওয়ায় নেতারা ‘শকড’ হলেও এ ব্যাপারে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই থাকতে চায় বিএনপি।
দলের সাংগঠনিক সক্ষমতা অর্জনের আগপর্যন্ত প্রয়োজনে বারবার জামিনের জন্য আদালতে যাওয়া হবে। পাশাপাশি বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচিও পালন করবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দলটির সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপ করে বিএনপির এমন মনোভাবের কথা জানা গেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদে পরিস্থিতি নিয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত হবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনা হয়নি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে শুরুতে একটা শঙ্কা ছিল। বারবার জামিন বাতিলের মধ্যে দিয়ে সেটা আরও পাকাপোক্ত হলো। এরপরও আমরা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যাবো।’
তিনি বলেন, ‘আইনি প্রক্রিয়ায় যেহেতু খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, ফলে আমাদের এখন অন্য পথে যেতে হবে। সেটা রাজপথসহ অন্য সবগুলো পথে চেষ্টা করে তাকে মুক্ত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন বাতিল করেন হাইকোর্ট। এর প্রতিবাদে এদিন বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। আগামী শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা ও মহানগরে সমাবেশ ডাকা হয়েছে।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হাইকোর্টে জামিন আবেদন বাতিলের পর দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। নেতারা ভেবেছিলেন, আদালত থেকে অন্ততপক্ষে একটি গাইডলাইন দেওয়া হবে। সূত্রগুলোর ভাষ্য, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেতে চায় না বিএনপি। দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা করা। আর সে বিষয়ে আদালত তার সম্মতির ওপর নির্ভর করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জিলন মিয়া সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট তিনি নিচ্ছেন না, কারণ সাইড ইফেক্ট কিছু আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি একা, পরিবার-পরিজন, স্বজন ছাড়া এমন একটা স্পেশাল ওষুধ দেবো। তাকে বোঝানো হয়েছে, তিনি তৈরি থাকলে দেবো।’
বাংলা ট্রিবিউন