আজ ৯ ডিসেম্বর পাবনার সাঁথিয়া হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এদিনে পাবনার সাঁথিয়া থানা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়েছিল। হানাদার পাকিদের হটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা এলাকার সর্বত্র উড়িয়ে দিয়েছিল স্বাধীন দেশের লাল-সবুজ পতাকা।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, দীর্ঘ নয় মাস সাঁথিয়ার বিভিন্ন রণাঙ্গণে সম্মুখযুদ্ধে ফজলুল হক, নজরুল ইসলাম চাঁদু, আ. সামাদ, দারা হোসেন, শাহজাহান আলীসহ ১৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছিলেন।
৮ ডিসেম্বর সাঁথিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে থানা সদর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে নন্দনপুর রণাঙ্গণে পাক হানাদারদের সঙ্গে চূড়ান্ত মোকাবিলায় অবতীর্ণ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে হানাদার পাকিরা পিছু হটে পাবনা শহরে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরদিন ৯ ডিসেম্বর নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে পাকি হানাদাররা সাঁথিয়া পুনর্দখলের চেষ্টা করে। এ অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া-মাধপুর সড়কের নন্দনপুর-জোড়গাছার মধ্যবর্তী ব্রিজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়।
সেদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র বাঁধার মুখে পাকিসেনারা আবার পিছু হটে শহরের দিকে চলে যায়। পরে মুক্তিযোদ্ধারা সাঁথিয়া থানা চত্ত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সাঁথিয়া থানাকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা দেন।
দিনটিকে স্মরণ রাখতে প্রতি বছরের ৯ ডিসেম্বর সাঁথিয়া হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে আজ সাঁথিয়ায় সকাল ১১টায় জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন এবং স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি ও উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাথিয়া মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ ও পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম প্রামানিকসহ মুক্তিযুদ্ধা ও আওয়ামী লীগের নেতারা।
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?
hnSREpUNwuFaPiD