ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ৪০ কোটি টাকার এফডিআরসহ ব্যাংক হিসেবে জমা ৫০ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৮৭৬ টাকা। গত বছরে ব্যাংক থেকে আয় এসেছে আড়াই কোটি টাকার কাছাকাছি।
গত বছর (২০১৯) শেষে আওয়ামী লীগের নগদ অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটি ৩৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯৩ টাকা। এর মধ্যে হাতে নগদ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭১৭ টাকা।
এই পঞ্জিকাবর্ষে ক্ষমতাসীন দলের আয় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ২০১৯ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দলটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের খসড়ার ওপর লিখিত মতামত দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ ও দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া কমিশনে হিসাব জমা দেন। তারা ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর আয়-ব্যয়ের হিসাব ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর লিখিত কপি হস্তান্তর করেন।
আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের তহবিলে নগদ ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৬৮ টাকা। সে সময় ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৩৭ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭০ টাকা। সর্বমোট অর্থ ছিল ৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৩ হাজার ৮৩৮ টাকা।
এরপর ২০১৯ সালে দলটির আয় হয়েছে সর্বমোট ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।
আয়ের উল্লেখযোগ্য খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- নমিনেশন ফরম বিক্রি বাবদ ১২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জাতীয় সম্মেলন বাবদ প্রাপ্ত ৩ কোটি দুই লাখ ৫৫ হাজার ৮০০ টাকা, ব্যাংক লভ্যাংশ বাবদ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ২২৩ টাকা। সংসদ সদস্যদের প্রদেয় চাঁদা বাবদ এক কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, জেলাভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ চাঁদা ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের হলভাড়া, পত্রিকা প্রকাশনা ও বিজ্ঞাপন (উত্তরণ) এবং পুস্তক বিক্রিসহ অন্যান্য খাত থেকে বাকি আয় হয়েছে।
ইসিতে জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা।
যেসকল খাতে ব্যয় হয়েছে তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো- জাতীয় সম্মেলন বাবদ তিন কোটি ৪৩ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা। কর্মচারীদের বেতন,বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ বাবদ ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭০০ টাকা। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাবদ ব্যয় ১ কোটি ১৮ লাখ ১৮ হাজার ৮৬৫ টাকা। সভাপতির কার্যালয়ে ভাড়া ৫৫ লাখ টাকা।
এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা অফিস, অফিস রক্ষণাবেক্ষণ, ত্রাণ কার্যক্রম, উত্তরণ পত্রিকা প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, বিভাগীয় জেলা জনসভা ও দলীয় অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা, বিজ্ঞাপন ও পোস্টার প্রকাশনা বাবদ, সাংগঠনিক খরচ, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সার্ভিস
চার্জসহ অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে।