নানা বাধা কাটিয়ে অবশেষে পাবনা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধানসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলররা শপথ গ্রহণ করেছেন।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।
পৌরসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিভাগের এই ১২ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বুধবার নবনির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করলেন।
আওয়ামী লীগের এই বিদ্রোহী প্রার্থী আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমতাগ্রহণ করবেন। এদিন বেলা ১১টায়য় পাবনা পৌরসভা চত্বরে বর্তমান মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু তার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
এর আগে নির্বাচনের দিনই বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরে ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেন নৌকার প্রার্থী আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি। কিন্তু জেলা নির্বাচন অফিস খারিজ করে দিলে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিট দায়ের করেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক সনি।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হাসান হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ ফলাফল স্থগিত করে দিয়ে প্রাপ্ত ভোট আবার গণনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে থমকে যায় শপথ গ্রহণ।
এর ৪দিন পরেই ১৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের জবাবের পর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের চেম্বার জজ আদালত ভোট পুনর্গণনা করতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেন। ফলে শপথ গ্রহণ করতে সব বাধা কেটে যায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রশংসীয়ভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচিত পাবনা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে নাটকীয় ভাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধানকে। মাত্র ১২২ ভোটে ব্যবধানে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনিকে পরাজিত করেন।
নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধান পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯৬৯ ভোট। আর নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সনি বিশ্বাস পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৪৭ ভোট।
ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর মোহম্মদ মাসুম বগা পেয়েছেন ৭ হাজার ৫০৪ ভোট। হাতপাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আবু বক্কর সিদ্দীক পেয়েছেন ১ হাজার ৬৫৯ ভোট। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টি মনোনীত চৌধুরী মোহম্মদ মাহাবুবুল হক পেয়েছেন ২৭৬ ভোট।