টানা কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহ অতিষ্ঠ জনজীবন। কিছুতেই দেখা মিলছিলো না বৃষ্টির। অবশেষে তীব্র তাপদাহের পর বছরের প্রথম বৃষ্টির দেখা পেল পাবনাবাসী। এ যেন পাবনা শহরে রীতিমতো বৃষ্টির ঢল নেমেছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) ভোরের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ঢল নেমে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (৬টা) পাবনা শহরে বৃষ্টি হচ্ছিল।
এদিন সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ কিছুটা মেঘলা হয়ে ছিল। দুপুরে কিছুটা গরম থাকলে, দিনের অন্যান্য সময়ের তাপমাত্র ছিল নাতিশীতোষ্ণ।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এর পরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবাহওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই কারণে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় ঢাকা ও টাঙ্গাইল অঞ্চলসহ কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা এবং ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অপরদিকে বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত দেশের অ্যভন্তরীণ নদীবন্দরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি এবং অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।