প্রতিপক্ষের বসতভিটায় ফেন্সিডিল রেখে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) খবর দেয়। ডিবি পুলিশ তার দেয়া তথ্য মতে সেখানে গিয়ে ফেনসিডিল উদ্ধার করে। কিন্তু ঘটনা সন্দেহজনক ও এলাকাবাসী বক্তব্যের পর বিষয়টি প্রাথমিক অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর বিষয়টি প্রমাণিত হলেও তথ্যদাতা যুবককেই গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চর গড়গড়ী গ্রামে। গ্রেফতারকৃত মো. তুষার (৩৫) ওই গ্রামের তমিজ উদ্দিন ছেলে। এলাকায় তার বাবা চিহ্নিত চোর হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতার তুষারের নামে ঈশ্বরদী থানায় অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনার গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, গত শুক্রবার (১ জুলাই) ডিবির একটি দল ঈশ্বরদীর মাধপুর বাজার এলাকায় অবস্থানকালে তুষার এসে জানায় যে, ওই গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান হাবি মাদক দ্রব্য ফেন্সিডিল এর চালান এনে বিক্রি করছে এবং এখনো তার কাছে অনেকগুলো ফেন্সিডিল আছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে তুষারকে সঙ্গে ডিবি পুলিশ হাবি’র বসত বাড়ির পিছনে টিনের তৈরি ছাপড়া ঘরের পিছনে পরিত্যক্ত জায়গায় তুষার এর দেখানো ও নিজ হাতে বাহির করা একটি কালো কাপড়ের বাজার করা ব্যাগের ভিতর ৪২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিল সংক্রান্তে স্বাক্ষী সহ আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে ডিবি পুলিশ জানতে পারে হাবি একজন নীরিহ লোক, সে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। ঘটনাস্থলে সাক্ষীদের সন্মুখে তুষারকে এবিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মৃত আকমাল প্রামাণিকের ছেলে মোঃ সামছুল আলম স্বপন (৪০) তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছে ওই ফেনসিডিল হাবি’র বাড়ির পিছনে রেখে পুলিশকে খবর দেওয়ার জন্য।
তিনি আরও জানান, হাবির সাথে মো. সামছুল আলম স্বপনের ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মোড়ের বাজার দখল এবং বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র পূর্ব শত্রুতা রয়েছে। তারই জের ধরে তুষারের মাধ্যমে ফেন্সিডিলগুলো দিয়ে হাবিকে ফাঁসানোর জন্য তার বসত বাড়ির পিছনে রেখেছে।